ব্রাহ্মণপাড়ায় উপজেলা সদরে যাত্রী ছাউনির অভাবে দুর্ভোগে যাত্রীরা
ব্রাহ্মণপাড়ায় উপজেলা সদরে যাত্রী ছাউনির অভাবে দুর্ভোগে যাত্রীরা
মোঃ অপু খান চৌধুরী।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরে সিএনজি স্ট্যান্ডে নেই কোন যাত্রী ছাউনি। এতে প্রতিদিন দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয় হাজার হাজার যাত্রীদের। রোদ কিংবা বৃষ্টি হলে যানবাহনের জন্য অপেক্ষাকৃত যাত্রীরা সড়কের পাশে ব্যক্তি মালিকাধীন দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় অনেক দোকানিরা বিরক্ত বোধ করেন। বর্ষার সময় যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। তখন যাত্রীরা বৃষ্টির পানিতে ভিজে গাড়িতে উঠতে হয়।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক কুমিল্লা টু মিরপুর সড়ক। এ সড়ক দিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়ত করে। এ উপজেলার প্রায় তিন লক্ষ লোকের অধিকাংশ এ সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন যাতায়ত করে। এছাড়া ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেশি থাকায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় যাতায়ত করতে হয়। কিন্তু যাত্রী ছাউনির অভাবে শিক্ষার্থীদের পরতে হয় বিরম্বনায়। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তথন স্কুল, কলেজের মেয়েরা অস্বস্তিতে ভুগে।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ব্রাহ্মণপাড়া থেকে মিরপুর হয়ে সিলেট রোড, বুড়িচং হয়ে কুমিল্লা জেলা সদরে, নাইঘর হয়ে হরিমঙ্গল ও দুলালপুর হয়ে দেবিদ্বারে যাতায়ত করে এ উপজেলার যাত্রীরা। এছাড়া স্থানীয় মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলায় যাতায়াত করতে হয়। যাত্রী ছাউনির অভাবে গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীতসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। প্রচন্ড রোদে ও বর্ষায় সামান্য বৃষ্টি হলে যাত্রীগণ বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নেয়। এসময় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন নারী, শিশু, স্কুলের ও কলেজের নারী শিক্ষার্থীরা। কারণ বর্ষার সময় বৃষ্টি হলে লোকজনের ভিড়ে সবসময় দোকানে আশ্রয় নিতে পারেন না।
যাত্রী মিজান মিয়া বলেন, যাত্রী ছাউনি না থাকায় প্রতিদিন মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়। বৃষ্টি হলেতো ভোগান্তির শেষ নেই। পরিবার নিয়ে আসলে তাদেরকে রাস্তায় পাশে দাঁড়ায়ে রাখতে হয়।
মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যাল কলেজের শিক্ষার্থী নাঈশা বলেন, স্কুল ও কলেজ গুলো ছুটি হলে গাড়ির সংকট দেখা দেয়। এসময় রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকলে বিভিন্ন সময় ইফটিজিং এর শিকার হতে হয়। একটা যাত্রী ছাউনি থাকলে আমরা নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারতাম।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছামিউল ইসলাম বলেন, জনসাধারণের সুবিধার্থে আমরা একটি জয়গা নির্ধারণ করে যাত্রী ছাউনির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করব।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স